, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


শওকতকে নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে সিএমপির অনুরোধ  

  • আপলোড সময় : ২৮-০৪-২০২৩ ০৪:২৭:৪৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৪-২০২৩ ০৪:২৭:৪৮ অপরাহ্ন
শওকতকে নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে সিএমপির অনুরোধ  


মানবিক পুলিশ খ্যাত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর সাবেক কনস্টেবল মো. শওকত হোসেনকে কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে কোন বিভ্রান্তি না ছড়াতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম  মহানগর পুলিশ সিএমপি। 

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে সিএমপি মিডিয়া বিভাগ থেকে থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, পুলিশ কনস্টেবল শওকত হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। প্রচার মাধ্যমে তার অতীতের কার্যক্রমের বিষয়ে আলোকপাত করা হলেও কী কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে সে বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। 

তিনি গত ০৯/১১/২০২১ খ্রিঃ থেকে ২০/০১/২০২২ খ্রিঃ পর্যন্ত কর্মস্থলে (বন্দর বিভাগ, সিএমপি) ইচ্ছাকৃতভাবে গরহাজির থাকেন। কোন যৌক্তিক কারণ এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে গরহাজির থাকা যেকোন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য গর্হিত অপরাধ, যা চূড়ান্ত অসদাচরণ হিসেবে গণ্য।

তাকে গত ০৮/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর আদেশে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিস থেকে গত ১৩/০৩/২০২২ খ্রিঃ তারিখে কুমিল্লা জেলায় বদলি করা হলে তিনি কুমিল্লায় যোগদান করেননি এবং রহস্যজনকভাবে গরহাজির থাকেন। তার গরহাজির সম্পর্কে কোন তথ্য কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেননি। পরবর্তীতে ০১/০৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে, অর্থাৎ ৩৫৩ দিন পরে কুমিল্লা জেলায় যোগদান করেন। 

বস্তুত তিনি ৪২৪ দিন কর্মস্থল থেকে গরহাজির থাকেন। কুমিল্লা জেলায় গরহাজির থাকায় তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলায় গরহাজির হওয়ার প্রতিবেদনে অসুস্থতাজনিত কারণে হাজির না হওয়ার কথা বললেও কোন চিকিৎসা সনদ উপস্থাপন করতে পারেননি। তবে তিনি চাকরিতে গরহাজির থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময়ই হাজির ছিলেন এবং তাকে কোন সময়ই শারীরিকভাবে অসুস্থ মনে হয়নি। 

যিনি এক বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে গরহাজির থাকেন, তিনি পুলিশের মতো একটি শৃঙ্খলা বাহিনীতে সংযুক্ত থাকতে পারেননা বলেই প্রতীয়মান হয়। এহেন অপেশাদার, শৃঙ্খলা বহির্ভূত কার্যক্রমের পরেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে তা প্রশাসনিকভাবে খারাপ নজির হিসেবেই গণ্য হতো।

তাছাড়া তিনি নিজেই অভিযোগের ব্যাপারে আত্মসমর্থনমূলক বক্তব্যে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে অভিহিত করেন। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় এবং মানবিক কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন।

কনস্টেবল শওকত এর বিরুদ্ধে গৃহীত বিভাগীয় ব্যবস্থার সাথে তার অতীত কর্মকান্ড সম্পৃক্ত করে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ

আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ